অফিসে বাইরে না খেয়ে বাসার খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আমার সব রোগীকেই আমি বলি, প্যাকেটজাত খাবার বা হোটেলের খাবার এড়িয়ে চলুন। বাসার খাবারে মজা কম লাগতে পারে, বাট খাবারটা ন্যাচারাল। আর যিনি আপনার জন্য খাবারটা বানান, আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে তার কনসার্ন আছে। তিনি চান না আপনি অসুস্থ হোন।
তিনি হতে পারেন আপনার মা, মেয়ে, পুত্রবধু, বোন বা স্ত্রী। এরা কেউই চান না, আপনি অসুস্থ থাকেন।
কিন্তু অফিসের ক্যাটারিংয়ে টেস্ট বাড়াতে গিয়ে হেলথ স্যাক্রিফাইস করতে হয় অনেক সময়। ফাস্ট ফুড বা রেস্টুরেন্টের কথা আর নাই বা বলি।
যত বেশি বাসার তৈরি খাবার খাবেন, আপনার পেটে কি ঢুকছে তার ওপর আপনার নিয়ন্ত্রন তত বেশি থাকবে।
বাসা থেকে লাঞ্চ নিয়ে যান, লাঞ্চবক্সের অন্তত অর্ধেকটা সবুজ শাকসবজি এবং ভর্তা দিয়ে পরিপূর্ণ রাখুন।
চালের ক্ষেত্রে বাদামী চাল, তেলের ক্ষেত্রে সরিষার তেল ব্যবহার করুন। সফট ড্রিংক্স বন্ধ রাখুন, আর যদি পারেন, দুপুরে ভাত খাওয়াটা বন্ধ করে দিন।
আমি বেশিরভাগ সময় দুপুরে ভাত খাই না, কারন এটা কাজের মনোযোগ নষ্ট করে, কাজের গতি কমিয়ে দেয়। এরচেয়ে খেজুর-মিক্সড রোস্টেড নাট-পিনাট বাটার এবং কলা অনেক ভাল। কম সময়ে খাওয়া যায়, ঘুম ঘুম ভাবটাও আসে না।
সঠিক খাবার খান, আর অফিসে পারফরম্যান্স ম্যাক্সিমাইজ করুন!!
মুহাম্মাদ সজল
ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট
বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন (বিসিআর)